
ঢাকা-১৬ আসনে নতুন ৪ ওয়ার্ড সংযুক্তির আবেদন
- আপলোড সময় : ০৩-০৯-২০২৫ ১১:৩৬:০৯ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৩-০৯-২০২৫ ১১:৩৬:০৯ পূর্বাহ্ন


ঢাকা ১৮ আসন থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫১, ৫২, ৫৩ ও ৫৪ এই চারটি ওয়ার্ড ঢাকা ১৬ আসনের সাথে সংযুক্ত করার জন্য বিএনপির নেতাকর্মী কর্তৃক আবেদন করার খবর ছড়িয়ে পড়ায় সাধারণ ভোটার ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। যা নির্বাচনে বিএনপিতে অনেক বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ নিয়ে অনেককে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদ করতেও দেখা গেছে। নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা ১৮ আসনের চারটি ওয়ার্ড ঢাকা ১৬ আসনের সাথে সংযুক্ত করার আবেদন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ৫২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমান, ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. সোহেল রানা, ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর হোসেন। কেনো তারা এমন পদক্ষেপ নিল এ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মতে রাজনৈতিক সুবিধা ও বিএনপি নিজেদের প্রতিপক্ষকে দুর্বল করতে এমন পদক্ষেপ যার প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের উপর। এমন ঘটনায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয় সাধারণ মানুষের মাঝে। অনেকের ধারণা এমন ঘটনা ঘটলে এ অঞ্চলের রাজনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবন ব্যবস্থা বদলে যেত। বদলে যেত রাজনীতির সমীকরণ। অবহেলিত হয়ে থাকতে হতো এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এখানকার চারটি ওয়ার্ডে বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এমন সংবাদ শুনে রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা বেশির ভাগ মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছে। অনেকের মতে সাধারণ মানুষকে রাজনৈতিক বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছিল। কারণ হিসেবে তারা এ অঞ্চলের পুরনো দিনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, একটা সময় এই অঞ্চল মিরপুরের সাথে সংযুক্ত ছিল। তখনকার সময় এই অঞ্চল একেবারেই অবহেলিত থাকায় আন্দোলনের মাধ্যমে উত্তরার সাথে সংযুক্ত করা হয়।
শাফিন আহমেদ, ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের একজন বাসিন্দা। তিনি বলেন, আমার পরিবারের সবাই পড়াশোনাসহ সার্বিক সবকিছু উত্তরার সাথে যুক্ত। তাহলে কেন আমরা মিরপুরে যাব। কিছু হলেই সবকিছুর হাতের নাগালেই পাওয়া যায়। মিরপুরের সাথে সংযুক্ত জন্য যারা আবেদন করেছে তারা অন্যায় কাজ করেছে। আপনার বুঝতে হবে মানুষের চাহিদা কি সে কি চায়। নূরে আলম নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, রাজনীতির এতটাই নোংরা হয়ে গেছে। এই চারটি ওয়ার্ডে লাখ লাখ মানুষের সাথে নোংরা রাজনীতির করার অপচেষ্টা এতে বিএনপি ভালো কোন ফল পাবে বলে আমার মনে হয় না। সাধারণ মানুষ এ বিষয় নিয়ে প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
আবিদ হুসেন নামে আরেকজন বলেন, মানুষ এখন সচেতন। তার নাগরিক ভাবনা, তার মৌলিক অধিকার সবকিছু নিয়েই মানুষ সচেতন। বিএনপি’র এমন কর্মকাণ্ডে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। যদিও বিএনপি বড় একটি সমাবেশের মাধ্যমে তাদের অবস্থান জানান দিয়েছে। কিন্তু যারা প্রকৃতপক্ষে এই অঞ্চলের চারটি ওয়ার্ড ওপর আসনে দেয়ার জন্য আবেদন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কিনা সে বিষয় স্পষ্ট নয়। এবিষয় নিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ